Friday, February 27, 2009

বিডিআর বিদ্রোহ - সরকারের উপলব্দ্ধি

.

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শুরু করছি।
বিগত ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী বিডিআর এর ধ্বংসলীলা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে আমি মনে করি বাংলাদেশ সরকারের একটা শিক্ষা এখান থেকে হওয়া উচিত। বিদ্রোহের সময় বিডিআর সৈনিকরা অনেক অভিযোগ করেছেন সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অনেক বৈষম্য আর নিপীড়নের কথা বলেছেন। সরকার হয়তো বিডিআর সৈনিকদের বৈষম্য আর নিপীড়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন। কিন্তু এতেই কি শেষ? সব সমস্যার সমাধান?
আমাদের এখন খতিয়ে দেখা দরকার আর কোথায় কোথায় এরকম নিম্ন শ্রেনীর চাকুরীজিবীরা বৈষম্য আর নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন? দেশের পে-স্কেল আর বেতন ভাতা বাড়ানোতে কখনই নিম্ন শ্রেনীর চাকুরীজিবীদের অংশগ্রহন থাকে না। যার ফলে দেখা যায় অনেক সময় প্রথম শ্রেনীর চাকুরীজিবীদের বেতন ভাতা যেভাবে বাড়ে নিম্ন শ্রেনীর চাকুরীজিবীদের সেভাবে বাড়ে না। উদাহরণ সরূপ তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলের দৈনিক ভাতা বাড়ানো কথা বলা যায়। সেখানে প্রথম শ্রেনীর চাকুরীজিবীদের যে ভাতা বেড়েছিল ২৫০% সেখানে ৩য় শ্রেনীর চাকুরীজিবীদের ভাতা বেড়েছিল ৩৩% এর মত। এরকম আরো অনেক বৈষম্য হয়ে থাকে। এতে চাকুরীজিবীরা কিছু না করতে পারে না হয়তো কিন্তু ক্ষুদ্ধ হয়।
৭/৮ বছর ধরে যেমন যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেমন বিশ্বব্যপী জঙ্গী দমনের নামে যুদ্ধ করে ব্যর্থ হয়েছেন তেমনি বাংলাদেশ সরকারও যদি উপযুক্ত কারণ আনুসনদ্ধান না করে সঠিক পদক্ষেপের বদলে কেবল বিডিআর কে কঠোর শাস্তি দেয় বাংলাদেশ সরকারও ভুল করবেন এবং ভবিষ্যতে হয়তো তার মাশুল দিতে হবে।

0 comments

Post a Comment